বৃহস্পতিবার, ২২শে মে, ২০২৫
৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

জনগণের মাঝে ক্ষোভ উসকাতে গুজবে তৎপর ফ্যাসিবাদের দোসররা

অনলাইন নিউজ: ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিলেও এক মুহূর্তের জন্যও বসে নেই ফ্যাসিবাদের দোসররা। নানা ছদ্মবেশে তারা অর্ন্তবর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল ও ব্যর্থ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। কখনও আনসার রূপে কখনও গার্মেন্ট শ্রমিক রূপে প্রতিবিপ্লবের দুঃস্বপ্নে বিভোর তারা।

৫ আগস্টের পর থেকে দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই আত্মগোপনে রয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশেরও হিড়িক দেখা গেছে। তবে আত্মগোপনে চলে গেলেও প্রশাসন ও সরকারি দপ্তরগুলোতে গণহত্যার দোসররা এখনও ঘাপটি মেরে রয়েছে। মাঝে মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের স্টাইলে বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটি বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে দলটির পক্ষ থেকে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ঢাকায় আনসারদের জড়ো করে সচিবালয় দখলে নিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর একটি বড় ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার পর গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠতে দেখা গেছে। সচেতন জনতা, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে সে ষড়যন্ত্রও ব্যর্থ হওয়ার পথে।

গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, মাঠের ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে পতিত স্বৈরাচার রূপ পাল্টে এবার অনলাইনে অভ্যুত্থানবিরোধী তৎপরতা জোরদার করেছে। ফেসবুকে নামে-বেনামে আইডি খুলে একের পর এক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডামূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছে।

এসব পোস্টের বিষয়বস্তু দেখলে খুব সহজেই বোঝা যায়, তাদের টার্গেট হচ্ছে জনগণের মাঝে ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উসকে দেওয়া। বিভিন্ন ইস্যুতে উসকানি দিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করায় তাদের মূল লক্ষ্য। আর অনলাইন প্রোপাগান্ডার বড় একটি অংশ পরিচালিত হচ্ছে ভারত থেকে। ফলে সাইবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবি উঠেছে সচেতন মহল থেকে।

নেটিজেনরা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এতটাই দেউলিয়া ও অবাঞ্চিত হয়ে পড়েছেন যে ভুয়া আইডি থেকে তাদের সরকারবিরোধী ক্যাম্পেইন চালাতে হচ্ছে। দেশে বিচ্ছিন্ন কোনো অপরাধ ঘটলেও তারা সমালোচনায় ঝাপিয়ে পড়ছেন। লোডশেডিংয়ে মত বিচ্ছিন্ন কিছু বিষয় সামনে এনে ‘আগেই ভালো ছিলাম’, ‘ড. ইউনূস সরকার ব্যর্থ’- ফেসবুকে এমন আওয়াজ তোলার চেষ্টা করছে স্বৈরাচার গোষ্ঠীটি।

অনলাইন এই গুজব তৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদও লক্ষ্য করা গেছে। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনও কিভাবে ধরাছোয়ার বাইরে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে তা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।

নেটাগরিকদের দাবি, জিরো টলারেন্স নীতির মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারের সাথে সেনাবাহিনীসহ সব অংশীজনকে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য করুন